পারভেজ মোশারফ
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চলের সন্ত্রাসী সোহেল মিয়ার খালা ফিরোজা বেগমের কাছ থেকে শীতলপাটিতে মোড়ানো দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদের নেতৃত্বে অভিযানে একটি চাইনিজ রাইফেল, একটি একনলা বন্দুক, একটি কিরিচ, পাইপগানের একটি অংশ ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ সময় শ্রীনগর এলাকার অলিউর রহমানের স্ত্রী ফিরোজা বেগমসহ আরও এক নারীকে আটক করে পুলিশ।
আটক হওয়া ফিরোজা বেগম জানান, উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলো তার ভাগনে সোহেল মিয়ার। এ নিয়ে সোহেল ও তার স্বজনদের কাছ এখন পর্যন্ত সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হল।
এর আগে গত ২১ জুলাই রায়পুরার শ্রীনগর এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছিল।
ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, ‘সোহেল চরাঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ ১২টি মামলা রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চরাঞ্চল থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী নির্মূলে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ মোরশেদ খান রাসেলের সঙ্গে বিরোধের জেরে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী গৃহবধূ শান্তা ইসলামকে হত্যা করে সোহেল ও তার সহযোগীরা। তারপর থেকেই তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি, মারধরসহ একাধিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সোহেল ও তার সহযোগীরা। তার তাণ্ডবে বহু মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়।
গত ২১ জুলাই সোহেল যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর স্বস্তি ফিরেছে শ্রীনগরবাসীর মাঝে।
তবে তার সহযোগীদের কাছে এখনও অনেক অস্ত্র আছে। সোহেলের সকল সহযোগীকে গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।