পারভেজ মোশারফ
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য বিগত সরকারের আমলে দেওয়া উপহারের বেশিরভাগ ঘরেই তালা ঝুলছে। সেখানে থাকছেন না বরাদ্দপ্রাপ্তরা। অথচ ওই গ্রামে গুচ্ছগ্রামের বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে তা ব্যবহার থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে প্রকৃত অসহায়দের। বরাদ্দ পাওয়ার পরও যারা এসব ঘরে থাকছেন না, তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুনদের দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রায়পুরা উপজেলার ওই গুচ্ছগ্রামের বসতঘরগুলোতে কেউ বসবাস করে না। শুধুমাত্র নাম দিয়ে ওই বসতঘরগুলো দখল করে রাখা হয়েছে, অথচ ঘরগুলোর দরজায় তালা ঝুলানো রয়েছে।
স্থানীয় বাবুল, মাসুদ সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দার দাবি, “আমাদের গ্রামে অনেক গৃহহীন অসহায় গরিব মানুষ রয়েছেন, যাদের ভিটে-বাড়ি নেই। যদি তাদেরকে গুচ্ছগ্রামের এসব বসতঘর দেয়া হয়, তাহলে তাদের মাথা গুজার ঠাঁই হবে।”
তাছাড়া আরও জানান, এইসব গুচ্ছগ্রামের অনেক বাসিন্দা স্বাবলম্বী হলেও তাদের নামে অনেক বসতঘর বরাদ্দ রয়েছে যা তারা ব্যবহার করেন না। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন যেন সুষ্ঠু তদন্ত করে শতভাগ স্থানীয় গৃহহীন অসহায় গরিব মানুষকে এসব বসতঘরে বসবাসের সুযোগ দেয়, তা তাদের দাবি।
উদাহরণস্বরূপ স্থানীয় কয়েকজন ভিটেহীন দরিদ্রের কথা তুলে ধরা হয় এই প্রতিবেদনে। বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে আনলে তিনি আশ্বাস দেন যে, স্থানীয় গৃহহীন অসহায় গরিব বাসিন্দাদের মাথা গুজার ঠাঁই দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
রায়পুরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমান (রুবেল) জানান, “গৃহহীন অসহায় গরিব মানুষের মাথা গুজার ঠাঁই গুচ্ছগ্রামে বসতঘরগুলোতে যারা বসবাস করছেন না বা করছেন, সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিব এবং স্থানীয় গৃহহীন মানিক মিয়া, রহিম মিয়া ও অন্যান্য গৃহহীন অসহায় গরিব মানুষের মাথা গুজার ঠাঁই নিশ্চিত করা হবে।”